ফল চাষে সাফল্য - কুল চাষ

প্রদ্যোৎ কুমার পাঠক উদ্যান পালন বিশেষজ্ঞ (কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র)

ফল হিসাবে কুলের চাস অনাদৃত হলেও অতীতে পাশ্চিমবঙ্গের শুস্ক জলবায়ু প্রধান জেলাগুলির প্রায় প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় দেশীজাতের কুলের গাছ অত্যšত জনপ্রিয় ছিল। পরবর্তী কালে এই সব কুলের জায়গার কিছুটা দখল করে নিয়েছিল বিভিন্ন জাতের নারকেল কুল। কিšতু বাগিচা ফসল হিসাবে এর চাষ কোনদিনই এরাজ্যে সেভাবে সমাদ্রিত ছিল না। যদিও এটির খাদ্যগুন গুরুত্বপূর্ণ প্রধান ফসলগুলির সমতুল্য, বিশেস করে এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকে, যা কমলালেবুর চেয়েও বেশী। অতীতে ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যে বাণিজ্যিক ভাবে এর ব্যাপক চাষের উদাহরন আছে। যেমন পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান উত্তরপ্রদেশ ইত্যাদি, কিšতু এই সময় পশ্চিমবঙ্গে কুলের বাগিচা প্রা... বিস্তারিত

দক্ষিন চব্বিশ পরগনা জেলায় শেড নেটে পান চাষ দেখে অভিভুত নদীয়ার কৃষক

দেবাশিষ মন্ডল (প্রতিনিধি কৃষিবার্তা)

নদীয়ার নাকাশিপাড়ার কৃষক আনন্দ বিশ্বাস, ভুষন দে, মনোরঞ্জন বিশ্বাসরা পলি হাউসে জারবেরা ফুল ও সবজি চাষ করে ইতিমধ্যে সফল কৃষক হিসাবে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। এবার তারা শেড নেটে পান চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলে দিতে চান। ২০১৫ সালে শেড নেটে পান চাষ করার জন্য নদীয়া জেলার উদ্যান পালন বিভাগ থেকে সরকারি অনুদান পেয়েছেন। চাষ শুরু করার আগে পান চাষে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য নদীয়া থেকে ১১ জন কৃষকের একটি প্রতিনিধি দল দক্ষিন চব্বিশ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ ব্লকের শিবকালী নগর গ্রামে যান পান চাষ দেখতে। দত্তপুকুরের এ্যারোটেক কো: সহযোগিতায় সারা দিনে বেশ কিছু গ্রামের পান চাষির সঙ্গে কথা বলেন। উন্নত পান চাষ পদ্ধতি সহ একাধিক শেড নেটের পান বরজ ঘুরে দেখেন। ইতিমধ্যে দক্ষিন চব্বিশ পরগনা জেলায় গত তিন বছরে ৫০০ স্কোয়ার মিটারের ১০০০ টি পান বরজ তৈরি হয়েছে। প্রতিটি পান বরজে ৩ লক্ষ টাকা খরচের দেড় লক্ষ টাকা সরকারি অনুদান পেয়েছেন কৃষকরা বিস্তারিত

অসময়ে পেঁযাজ চাষের নজির পুরুলিয়া জেলার

লক্ষী সরকার, পুরুলিয়া:

মশলা ফসল হিসাবে পেঁয়াজের কদর তুলনাহীন। রান্নার স্বাদ বৃদ্ধিতে পেঁয়াজের বিকল্প নেই্। তাই গৃহিনীর রান্নাঘর পেঁয়াজ ছাড়া অচল। পেঁয়াজ এমন একটি ফসল যার চাহিদা সারা বছর সমান থাকে,অথচ আমাদের রাজ্যে সাধারনত রবি মরশুমে এই্ ফসলটি চাষ করা হয়ে থাকে। যা বাজারে আসে মার্চ-এপ্রিল মাসে। এই সময়ে পেঁয়াজরে দাম থাকে কেজি প্রতি ৫-৭ টাকা। ফলে এই চাষে লাভ ও বিশেষ থাকে না। এই পেঁয়াজ ঘরোয়া পদ্ধতিতে সংরক্ষন করে তিন চার মাসের বেশি চলে না। এর পরেই বাজারে টান পড়তে শুরু করে। চাহিদা পূরণ করতে এরপর দক্ষিন ও পশ্চিমের রাজ্যগুলি বিশেষ করে মহারাষ্ট্র থেকে এই ফসলটি আমদানি করতে হয়। চাহিদা মত আমদানি না হলে দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থা... বিস্তারিত

পাটের আঁশ ছাড়ানো মেশিন আবিস্কারে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেতে পারেন বনগাঁর কৃষক কৃষ্ণপদ বিশ্বাস

দেবাশিষ মন্ডল, উত্তর চব্বিশ পরগনা

লড়াইটা শুরু করেছিলেন ২০০৫ সালে। ২০১৪ সালে কৃষকের মুখে সাফল্যের হাসি অনেকটা। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বনগাঁ ব্লকের গঙ্গানন্দপুর পঞ্চায়েত এলাকার অম্বরপুর গ্রামের কৃষককে আজ এক ডাকে সকলেই চেনে। গ্রামের গন্ডি ছাড়িয়ে তার পরিচিতি ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। কৃষি কাজ করে এইরকম পরিচিতি হওয়া যায় সেটা প্রমান করেছেন কৃষ্ণপদ বিশ্বাস। ইতিমধ্যে কৃষক রতœ পুরস্কার, বিজ্ঞান উদ্ভাবনী পুরস্কার সহ একাধিক পুরস্কার তার হাতে এসেছে। অপেক্ষা রাষ্ট্রপতি পুরস্কারের। (এন.আই.এফ) ন্যাশানাল ইনুভেশান ফাউনডেশান থেকে ইতিমধ্যে অম্বরপুর গ্রামে কৃষকের বাড়িতে গিয়ে সমস্ত রকম ইনকোয়ারি করে গেছেন। সব কিছু ঠিকঠাক থাক... বিস্তারিত

কলা চাষ করে বিঘা প্রতি ৩ লক্ষ টাকা লাভ করছেন সুটিয়া গ্রামের প্রসেনজিৎ বিশ্বাস

শঙ্কর রায়, উত্তর চব্বিশ পরগনা

প্রসেনজিৎ বিশ্বাস বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার গাইঘাটা ব্লকের সুটিয়া গ্রামে। আর্থিক কারনে পড়াশোনা বেশি দুর এগিায় নি। বাবার হাত ধরে চাষের কাজে প্রবেশ। একটা সময় অন্যের জমিতে কাজ করে সংসার চলত। এখন চাষ কাজের ওপর ভর করে বাড়ি দু-চাকার গাড়ি সবই করেছেন। গত ১৫ বছর ধরে চাষ কাজের সঙ্গে যুক্ত। সবজি ধান পাটের পাশাপাশি ফুলের চাষ করেন। বর্তমানে তার ৮ বিঘা জমি আছে। আধুনিক প্রযুক্তি মেনে চাষ করে যথেষ্ঠ লাভবান প্রসেনজিৎ বাবু।এবছর এক বিঘা জমিতে দুটো পাটে সিঙ্গাপুরী জাতের কলা লাগিয়েছেন। বাজার দর ভালো থাকায় হাসি ফুটুছে কৃষকের মুখে। চাষ পদ্ধতি জানাতে গিয়ে কৃষক যেটা জানালেন গত বছর আষাঢ় মাসে কলা বসিয়েছিলাম বিঘা প্র... বিস্তারিত

করমচা চাষ করে বিঘা প্রতি লক্ষাধিক টাকা লাভ করুন

দক্ষিন চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙর ২ নম্বর ব্লকের অনন্তপুর গ্রামের কৃষক মিজানুর আলম গত পঁচিশ বছর ধরে করমচা চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলে দিয়েছেন। বিভিন্ন জেলা থেকে তার জমিতে করমচা চাষ দেখতে আসছেন কৃষকরা। এবছর সাড়ে তিন বিঘা জমিতে করমচা চাষ করেছেন। কৃষি বার্তার প্রতিনিধি হয়ে জানতে গিয়েছিলাম করমচা চাষের পদ্ধতি। জমিতে দাড়িয়ে মনে হচ্ছিল কাশ্মীÍ কোনো ফলের বাগানে দাড়িয়ে আছি।চাষ পদ্ধতি জানাতে গিয়ে মিজানুর বাবু বললেন ১ বিঘা জমিতে ১০০ চারা বসানো যায়। ৩ বছর পর থেকে গাছে ফল আসতে শুরু করে। ৫ বছর পর্যন্ত মিশ্র চাষ হিসাবে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা যায়। নিচু জমি হলেও কোনো অসুবিধা হয় না। সার ও জলসেচ খুব কম লাগে।সারা বছরের মধ্যে ৩ মাস পরিচর্যা করা লাগে। একটা ৬ বছরের গাছ থেকে গড়ে ২০ কেজি পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়।বছর্ েএকবার বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ মাসে ফল বাজারজাত করা হয়। এক কেজি ফলের দাম ২৬ টাকা। করমচা প্রসেসিং করে বাজারে চেরী ফল হিসাবে বিক্রি হয়। কৃষকের ফোন নম্বর Ñ ৭৪০৭৪৭৫২৪৩ বিস্তারিত